রগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। পাশাপাশি রিটে খুনিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে দেশের সব বন্দরে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
৩০ জুন, রবিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি করেন। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী নিজেই।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন হবে।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ,আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাবের ডিজি, বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি), বরিশাল বিভাগীয় পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন আবার রিট করা হয়েছে জানতে চাইলে ইউনুছ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এর আগে হাইকোর্ট থেকে মৌখিক আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মৌখিক আদেশ দেওয়া হয়েছে আমরা এখন একটি লিখিত আদেশ চাই। তাই এ রিট করেছি।
তিনি বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনা ঘটার তিন-চার দিন অতিবাহিত হচ্ছে তারপরও খুনের পরিকল্পনাকারী এবং মূল আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।
রেড অ্যালার্ট জারির জন্য স্থল, বিমান ও নৌবন্দরে যাতে পাহারা বসানো হয় তার জন্য লিখিত আদেশ চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৭ জুন রিফাত শরীফের হত্যাকারীরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে দেশের সব থানায় অ্যালার্ট জারি করতে বলেছিল হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ২৭ জুন, বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ আদালতের নজরে আনেন। পরে সংশ্লিষ্ট আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে রিফাতকে সন্ত্রাসীরা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে বিকেলে চিকিৎসাধীন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।