প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আজ বিকেলে চীনের দালিয়ানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১ জুলাই, সোমবার বিকেল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের বিজি-১৭২০ বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীনের উদ্দেশে রওনা হবেন। আগামী ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সফরে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওই সফরে ঢাকার মূল ফোকাস থাকবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে। পাশাপাশি চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সঙ্গে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় মধ্য রাতে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান ঝোউশুইঝি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংগ্রি-লা হোটেলে বিশ্রাম নেবেন শেখ হাসিনা।
সম্ভাব্য কর্মসূচি অনুযায়ী সফরের দ্বিতীয় দিন ২ জুলাই সকালে ডালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব। পরে ডালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কোঅপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
৩ জুলাই স্থানীয় সময় সকালে চীন সরকারের বিশেষ বিমানে ডালিয়ান থেকে বেইজিং যাবেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেইজিংয়ে ডিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউসে নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা। ৪ জুলাই দুপুরে চীনের প্রধানমন্ত্রী কেছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। দুপুরে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। এ দিন বিকেলে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫ জুলাই বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।