কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
হিজড়াদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি, এমন মানুষ খুব কম আছে। এটা জানা কথা যে, হিজড়ারা সাধারণ মানুষকে কম-বেশি হয়রানি করে থাকে। ইদানীং হিজড়ারা বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
হঠাৎ করেই এসে টাকা দাবি করে। না দিতে চাইলে অশ্নীল ভাষা, ধাক্কাধাক্কি, সবার সামনে নগ্ন হতে চাওয়াসহ বিভিন্ন অশ্নীল আচরণ ও তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি করে। সিলেট সহ সারা দেশের সাধারণ মানুষ এভাবেই হিজড়াদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে আসছে। ব্রিজমোড়,বাস ট্রেন ও বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে এদের বেশি দেখা যায়। ফলে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা এদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে।
রেল ষ্টেশনে ট্রেন থামলেই হিজড়ারা ট্রেনে উঠে এবং টাকা দাবি করে। এবং বিভিন্ন ধরনের অংঙ্গ ভঙ্গী দেখায়,এবং দাবী করে এমন ভাবেই ২০ টাকা চাইলে ২০ টাকাই দিতে হবে, কম হবে না ও নেবেও না। এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর তারা জুলুম চালায়। মান-সম্মানের ভয়ে সাধারণ মানুষ তাদের টাকা দিতে বাধ্য হয়। স্কুল,কলেজ,বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এদের হাত থেকে রেহাই পায় না।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্র হৃদয় ইসলাম নামে তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাই,শায়েস্তাগঞ্জ ষ্টেশনে ট্রেন দাড় করায়। তখন হঠাৎ দেখি আমার পরিবারের সবার সাথে দেখি ৪ জন হিজরাদের খারাপ আচরন করতে,আমি প্রথমে তাদের অবস্থাটা দাড়িয়ে দেখি,কিছু বললাম না,তখন দেখি আস্থে আস্থে তাদের কথাবার্তার আচরন গুলো সীমা ছাড়াচ্ছে। যখন দেখলাম ওরা একটু বেশি করে ফেলছে,তখন আমি বাদা দেই,তখনই আমার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করে,আমার শরীলে হাত দিয়ে খারাপ আচরন শুরু কওে বলে। এই, তুই টাকা দিবে কি না বল,তখন আমার পরিবারের সবার দিকে তাকিয়ে,এবং সবার সম্মানের দিকে তাকিয়ে বাধ্য হয়ে তাদের টাকা দিতে হয়েছে।
সরকার হিজড়াদের বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ ছাড়াও অর্থিকভাবে সহায়তা করছে। তারপরও এদের অত্যাচার ও চাঁদাবাজি থামছে না। এক শ্রেণীর মানুষ হিজড়াদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিজড়া সেজে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কর্তীপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন,এটাই প্রত্যাশা করেন সাধারন মানুষ।