নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা ও গাংগাইল ইউনিয়নে গত দুই মাস ধরে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে সাধারন জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার লাইন মেরামত করার অজুহাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে করে জুম্মা’র দিন শত শত নামাজী জুম্মার নামায আদায় করতে গিয়ে প্রচন্ড গরমে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান ডিজিএম নান্দাইলে যোগদান করার পর থেকে এই সমস্যা বিরাজ করছে। নান্দাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন রহমান জানান, চৌরাস্তা এলাকা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ না থাকায় আমার থানায় সরকারি কাজ কর্মে এবং যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাংবাদিকরা জানান, প্রেসক্লাবের অবস্থান চৌরাস্তায় থাকায় সাংবাদিকগণ বিদ্যুতের অভাবে সংবাদ পত্রে রিপোর্ট পাঠাতে খুবই সমস্যা হয়ে থাকে। ৫নং গাংগাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আতাউল করিম বাবুল, নান্দাইল রোড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সেক্রেটারী সিনিয়র সাংবাদিক মো. এনামুল হক বাবুল জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই এলাকার মানুষের সাথে বিমাতা সূলভ আচরণ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য শুক্রবার জুম্মার দিন বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের নাম করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে করে মুশুল্লীগণ নামাজ আদায় করতে অসুবিধায় পড়ে থাকে। নেতৃবৃন্দ দাবী করেন শুক্রবার কোন মতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা যাবে না। এই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না হলে গ্রাহক ও মুশুলীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধন সহ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ বন্ধ রাখা ও আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। অপরদিকে চৌরাস্তা এলাকার সার্বিক গুরুত্ব বিবেচনা করে উপজেলা সদর ও পৌরসভার বিদ্যুৎ লাইনের সাথে চৌরাস্তা এলাকার বিদ্যুত লাইনের সমন্বয় করার দাবী জানান। অর্থাৎ পৌরসভায় বিদ্যুৎ থাকলে চৌরাস্তা এলাকায়ও বিদু্যূৎ থাকে এই ব্যবস্থা করতে হবে।