কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ- কয়রায় পাওয়ার টিলারের অভাবে কৃষকরা জমি চাষ করতে পারছেনা । যার ফলে চারার বয়স খেয়ে গেলেও রোপনের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না । জানা গেছে, উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ টি ব্লকে ১৯৬০ হেক্টর জমি আমন ধানের চাষাবাদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে।। ধান কতৃন যন্ত্র,মাড়াই যন্ত্র ও চারা রোপন যন্ত্র ৭০% ভুর্তুকির মাধ্যমে দেয়া হলেও দেয়া হচ্ছে না পাওয়ার টিলার। কালনা গ্রামের কৃষক গোলাম হোসেন ও দেয়াড়া গ্রামের বাবুল আক্তার জানান, জমি চাষের জন্য বিগত ১০/১২ দিন ধরে পাওয়ার টিলারের মালিকের নিকট গেলেও তিনি আমার জমি চাষ করে দেননি। চারার বয়স খেয়ে যাচ্ছে অথচ রোপনের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। যে কারনে অনেক জমি পতিত থেকে যাবে। পাওয়ার টিলার মালিক গোবিন্দপুর গ্রামের মহারম গাজী জানান,আমি তো মেশিন না, আমার ১ টা পাওয়ার টিলার রয়েছে যা দিয়ে রাত-দিন জমি চাষ করে থাকি। যাদের কথা দেয়া থাকে তাদের জমি আগে চাষ করে দেই। মহারাজপুর ইউনিয়ানের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন জানান,পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়ার টিলার না থাকার কারনে কৃষকরা সময় মত জমি চাষ করতে পারছেনা। মহারাজপুর ইউনিয়নে ৩০/৩৫ টি পাওয়ার টিলার দরকার কিন্তু আছে মাত্র ১২ টি। যদি কৃষি অফিস থেকে ভুর্তুকির মাধ্যমে পাওয়ার টিলার সরবরাহ করা হয় তাহলে কৃষকদের সমস্যার সমাধান সম্ভব। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এসএম মিজান মাহমুদ জানান,ভুর্তুকির মাধ্যমে কৃষক পাওয়ার টিলার পেলে তারা উপকৃত হবে। এ জন্য কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের যান্ত্রিক বিভাগ কাজ করছে