বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শের-ই বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদকে (২১) হত্যার সময়কার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার সকাল থেকেই ফুটেজ উদ্ধারের দাবিতে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে হত্যা করেছেন দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলছেন, হত্যার পর সিসিটিভির ফুুটেজ চেক করতে গিয়ে দেখা যায়, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর থেকে সিসিটিভি’র ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। যতক্ষণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো না হবে ততক্ষণ প্রভোস্ট কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। এরপর জানা যাবে ঘটনার মূল কারণ।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন-রাসেল ও ফুয়াদ। তারা দুজনই বুয়েটের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, বুয়েটের ছাত্র নিহতের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
নিহত আবরার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
পূর্বপশ্চিমবিডি