১৮ তম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলন শেষে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি আজারবাইজানের বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট ন্যাম জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় ফোরাম হিসেবে পরিচিত। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে।
সম্মেলনে অংশ নিতে চারদিনের সফরে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহিদসহ অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন।
ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ সভা ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও মিয়ানমারের ভূমিকার কথাও বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে বিশ্বনেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।