মোঃ বাবুল নেত্রকোণা থেকে ঃ
নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে বাচ্চা প্রসবের চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে দুই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।আজ দুপুরে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা জানান, হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের অপারেশনের পর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লিমা চৌধুরী (২২) ও বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইয়াসমিন আক্তার (২৮) নামে দুই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। লিমা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও ইয়াসমিন মম হাসপাতাল ত্যাগ ক রার পর মৃত্যু হয়।নিহত লিমা যশোর জেলার গাভিনা গ্রামের আল ফরিদের স্ত্রী। তিনি সন্তান সম্ভবা হওয়ায় পর নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের বরান্তর গ্রামে বাবা জিয়া উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে আসেন। অপরদিকে নিহত ইয়াসমিন নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলি এলাকার লোকমান মিয়ার স্ত্রী। এই প্রসূতি মায়েদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ হিসেবে চিকিৎসক ও সেবিকাদের অবহেলাকে দায়ী করেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার একই দিনে ওই দুই গর্ভবতী মায়েদের সিজারিয়ান করা হয়।এসময় গাইনী চিকিৎসক নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডঃ রঞ্জন কুমার কর্মকার ও ডঃ জান্নাত আফরোজ নূপুর অপারেশন থিয়েটারে কর্তব্যরত ছিলেন। দুজনেরই দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হলে, মারা যান ওই দুই প্রসূতি মা। আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জেলার সিভিল সার্জনসহ অভিযুক্ত চিকিৎসক ও সেবিকাদের হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারের জন্য মানববন্ধন করেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী। আরও জানা যায় ডাঃ রঞ্জন কুমার কর্মকার হাসপাতালের ডিউটি বাদ দিয়ে নেত্রকোণার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান ও অবৈধ পন্থায় গর্ভপাত ঘটায়। এ বিষয়ে নেত্রকোণা সিভিল সার্জন তাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাদিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং সকাল থেকে অফিস ত্যাগ করেন। মানববন্ধনে অংশ নেন- নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ শেখ হেলাল উদ্দিন, আইনজীবী মনোয়ার জাহান পারভেজ, আ’লীগ নেতা মজিবর রহমান জজ মিয়া, নাগরিক আন্দোলনের সা. সম্পাদক খানে আলম খান, আ’লীগ নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মানিক, হাফিজুল্লাহ্ খান, দুলাল খান, আব্দুর রহমান শেখ ও বিভিন্ন অনলাইন,ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।