×

Advertisement


Welcome to The-News24.com!

Enjoy your stay and explore our Updated News.


কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি

 

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি


 কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ১০ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ দিন রিমান্ডের অনুমতি দেওয়া হয়। দুটি হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে তাদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়।

সকাল ১০টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলছিল। সে সময় আসামির কাঠগড়ার দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপু মনি। তার সামনে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তার বাম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু। দীপু মনির বাম হাতে কয়েকটি টিস্যু পেপার ছিল। আর ডান হাতে কলম। একপর্যায়ে দীপু মনি টিস্যুর ওপর কিছু লিখতে শুরু করেন।

প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে টিস্যু পেপারের ওপর ‘চিঠি’ লিখেন দীপু মনি। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তির হাতে দীপু মনি চিঠিটি তুলে দেন। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের মুঠোফোনে চিঠির ছবি তুলে টিস্যু পেপার তার বাঁ হাতে ভাঁজ করে রাখেন। চিঠির ছবি তোলার বিষয়টি তিনি আকারে-ইঙ্গিতে দীপু মনিকে জানান।

আদালতে দেখা যায়, দীপু মনি জনৈক ব্যক্তির হাতে চিঠি হস্তান্তরের পর তিনি জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে কথা বলেন। সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও দীপু মনিকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিঠি লেখার বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এজলাসকক্ষের যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি শুনানি করছিলেন, সেখান থেকে কাঠগড়া কিছুটা দূরে। আদালতে অনেক আইনজীবী ছিলেন। জনাকীর্ণ আদালতে দীপু মনির চিঠি লেখার বিষয়টি তার নজরে আসেনি। যদি নজরে আসত, তাহলে অবশ্যই তিনি আদালতের দৃষ্টিতে বিষয়টি আনতেন। কারণ, একজন আসামি আদালতের হেফাজতে থাকেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া এখানে তিনি চিঠি লিখতে, হস্তান্তর করতে পারেন না। কিংবা আইনজীবী ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে কথা বলা যায় না।

দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম বলেন, তার মক্কেল এ ধরনের কোনো চিঠি লিখেছেন কি না, তা তার নজরে আসেনি। কারণ, জনার্কীর্ণ আদালতে তিনি সামনের দিকে অবস্থান করছিলেন। শুনানিতে ব্যস্ত ছিলেন।

দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments